ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের কারন লক্ষণ এবং প্রতিকার

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান? তাহলে আজকের  আর্টিকেলটি আপনার জন্য। চিকনগুনিয়া রোগটি ডেঙ্গুর মত একটি ভাইরাস জনিত রোগ।
ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের কারন  লক্ষণ এবং প্রতিকার

বর্ষা শুরু হলে মানুষকে শুধু প্রচণ্ড রোদ থেকেই আরাম দেয় তা নয়। বরং সঙ্গে করে নিয়ে আসে বিভিন্ন ধরনের রোগ। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হল একটি মশা বাহিত রোগ। আর এই ভাইরাসটি ছড়াই মশার কামড়ের মাধ্যমে।

পেজ সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ লক্ষণ এবং প্রতিকার

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ লক্ষণ এবং প্রতিকার

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আমরা এখন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানবো। আমরা জানি ডেঙ্গু এবং চিকনগুনিয়া একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এই রোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে মশাতে কামড়ানোর পরে যদি সেই মশা অন্য কোন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায় তাহলে তার শরীরেও ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

এখন প্রথমে জানবো যে এডিস মশা কামড়ালে কি মানুষ ডেঙ্গু বা চিকনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হবে কিনা। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা কিন্তু সেরকম কোনো কথা বলে না। চিকিৎসকরা বলেন পরিবেশের মাধ্যমে যদি কোন ভাইরাস এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয়। শুধু তখনই মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। নিচে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া  রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের মধ্যে পার্থক্য কি

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ দুটি একই রকম হওয়া সত্ত্বেও এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এই  রোগ দুটি একই ধরনের মশার মাধ্যমে ছড়ায় কিন্তু ভাইরাস গুলো আলাদা হয়। যেমন ডেঙ্গু জ্বর হয়  ফ্লাভরিডি ফ্লাভি ভাইরাস থেকে। আর চিকনগুনিয়া ভাইরাস হল টোগাভিরিডি আলফাভাইরাস থেকে।  এই রোগ টি মশা বাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাস ও বলে।যেমন ডেঙ্গু জ্বর হলে মাথা ব্যথা, হাড় ও মাংসপেশীতে ব্যথা, এবং চোখে ব্যথা হয়। 

আরো পড়ুনঃ কারেন্ট বিল বের করার নিয়ম 2025

অন্যদিকে চিকনগুনিয়া হলে জয়েন্টে তীব্র ব্যথা এবং ফোলা ভাব দেখা যায়। কারণ ডেঙ্গু জ্বর থেকে চিকনগুনিয়াতে অনেক বেশি ব্যাথা এবং ফোলা ভাব থাকে। ডেঙ্গু জ্বর হলো মশা বাহিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। অন্যদিকে চিকনগুনিয়া হলো ভাইরাসের কারণে হওয়ার সংক্রমণ। ডেঙ্গুর রোগ জীবাণুর ডিম ফোটার সময় কাল হলো তিন থেকে সাত সপ্তাহ এবং চিকুনগুনিয়ার সময়সীমা হল এক থেকে বারো দিন। 

চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো কি কি

চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। চিকনগুনিয়া রোগের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। প্রথম লক্ষণ হল প্রচন্ড পরিমাণ জ্বর যেমন ১০০ থেকে ১০৪  ডিগ্রী সেলসিয়াস জ্বর থাকে। নিচে চিকুনগুনিয়া লক্ষণগুলো আলোচনা করা হলো।

  • প্রচুর পরিমাণ জ্বর হওয়া 
  • শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া
  • বমি বমি ভাব হওয়া
  • মাথা ব্যথা
  • জয়েন্টে তীব্র ব্যথা
  • শরীর ব্যথা
  • রক্তক্ষরণ হওয়া
  • চোখ লালচে হয়ে যাওয়া
  • চোখের পেছনের দিকে ব্যথা হওয়া

চিকুনগুনিয়া রোগের এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যেন এই রোগের জন্য কোন বড় সমস্যায় না পড়তে হয়। তাই শরীরে অতিরিক্ত জ্বর থাকলে খুব দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণ কি 

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাস। চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস এর যে কোন একটির কারণে এবং মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস  ছড়ায়। ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে সৃষ্ট হয় এডিস মশার সংক্রমণ। যদি কোন ব্যক্তির পূর্বে ডেঙ্গু জ্বর হয়ে থাকে তবে দ্বিতীয়বার যদি এই রোগ হয় তাহলে জটিল সাম্যসা এবং প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে। কারণ সংক্রমনের সংখ্যা যত বেশি হবে তেমনি গুরুতর জটিলতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের কারন  লক্ষণ এবং প্রতিকার

স্ত্রী এডিস মশা ভাইরাসের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। এরা ভাইরাস আক্লান্ত সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিকেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। এই রোগের উপসর্গ হলো প্রচন্ড রকমের জ্বর ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমেই ডেঙ্গু জ্বর হয়। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে যেন আমরা এই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হয়ে পড়ি।

ডেঙ্গু জ্বর ও চিকনগুনিয়া হলে যেসব খাবার খাবেন

ডেঙ্গুজ্বর ও চিকুনগুনিয়া হলে রোগীকে অনেক প্রোটিন এবং আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে। এছাড়াও আড়াই থেকে তিন লিটার পর্যন্ত পানি পান করতে হবে। প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার খেতে হবে যাতে করে পানি শূন্যতায় না ভোগে। কারণ প্রোটিন এবং আয়রনের যুক্ত খাবার খেলে রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে সাহায্য করে। ডেঙ্গু জ্বর ও চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে কোন খাবার গুলো খেতে  হবে এগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

  • ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খাওয়া
  • স্যালাইন
  • ডাবের পানি
  • প্রচুর পানি
  • ফলের রস
  • স্যুফ
  • দুধ 
  • ডিম
  • মাছ
  • মুরগি
  • চর্বিহীন মাংস

এছাড়া ডেঙ্গু জ্বর ও চিকনগুনিয়া হলে  যেসব খাবার খাওয়া অনুচিত। কারণ ফাইবার যুক্ত খাবার বেশি খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সময় কোন খাবার গুলো এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

  • অতিরিক্ত মসলাদার খাবার
  • তৈলাক্ত বা ভাজাপোড়া খাবার
  • অতিরিক্ত তেল বা চর্বি জাতীয় খাবার 
  • ফ্রাস্টফুড খাবার
  • ক্যাফিনযুক্ত খাবার

ডেঙ্গু রোগ এবং চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে এই খাবারগুলো এড়িয়ে চললে শরীর সুস্থ থাকবে। তাই এই খাবারগুলো পরিহার করা  উচিত।

চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর হলে ঘরোয়া প্রতিকার

চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বর বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে এতে করে মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। চিকুনগুনিয়া রোগের তেমন কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। এর জন্য কিছু ঘরোয়া টিপস এর মাধ্যমে চিকনগুনিয়ার তীব্র জয়েন্টের ব্যথাগুলো কমে যেতে পারে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।

  • শরীরের যে জায়গাতে তীব্র ব্যথা আছে সেখানে হালকা কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করলে ব্যথা কমে যেতে পারে।
  • বরফের টুকরো দিয়ে শরীরে যে জায়গায় ব্যথা আছে সেখানে একটা পাতলা তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে রেখে সেই জায়গায় চার-পাঁচ মিনিট ধরে রাখুন এ পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যথা অনেকটা কমে যাবে।
  • ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া রোগের জন্য একটা উপকারী জিনিস হচ্ছে দুধের সাথে আধা চা  চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের অনেকটা ব্যথা সারতে সাহায্য করে।
  • এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আদা দিয়ে চা খেতে পারেন তাহলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে।
  • চিকুনগুনিয়ার জন্য শরীরে রসুন মেশানো তেল এবং শরীরে যেখানে ব্যথা আছে সেখানে মালিশ করলে অনেক উপকার পাবেন।
  • চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু জ্বর এর দুর্বলতার জন্য প্রতিদিন ২-৩ গ্লাস ডাবের পানি পান করতে পারেন এবং আঙ্গুর ফল এবং দুধ খেতে পারেন।
  • চিকুনগুনিয়া রোগের জন্য তুলসী পাতা দারুন উপকারি ১০-১২ তুলসী পাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে পানি অর্ধেক হয়ে গেলে সেই পানি পান করলে চিকুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু রোগ সারতে সাহায্য করে। 

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হলো জ্বর কোন  ব্যক্তির শরীলে যে ধরনের লক্ষণগুলো দেখলে বোঝা যাবে তার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা নিচে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

  • প্রচুর পরিমাণ জ্বর ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট
  • তীব্র মাথাব্যথা
  • শরীরে ঠান্ডা লাগা অনুভব হওয়া
  • কোষ্ঠকাঠিন্য
  • রক্তচাপ কমে যাওয়া
  • পেশীতে ও জয়েন্টে ব্যথা হওয়া
  • রুচির পরিবর্তন
  • শরীরে রেশ বেরনো
  • ক্ষুধা কম লাগা
  • বমি হওয়া
  • চোখে ব্যথা করা

ডেঙ্গু জ্বর থেকে কিভাবে প্রতিকার পাওয়া যায় এর উপায় সম্পর্কে এখন আমরা জানবো। আমরা জানি যে এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বর রোগটি ছড়ায়। আর এই এডিস মশা মানুষকে দিনের বেলা কামড়ায় তাই আমাদের উচিত দিনের বেলা যদি ঘুমাতে গেলে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। এছাড়া বাড়ির আনাচে-কানাচে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অন্ধকার ঝোপঝাড়ে ওষুধ বা স্প্রে দিয়ে সুরক্ষিত করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ই ক্যাপ ৪০০ চুলে ব্যবহারের নিয়ম

ঘর বাড়ির আনাচে-কানাচে যদি  পানি জমে থাকে তাহলে এক দুই দিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে। বাড়ির ফুলের টবে এবং ফ্রিজ  এসিতে যদি পানি জমে  তাহলে সেই পানি পরিষ্কার করে ফেলুন এবং  এডিস মশার ভাইরাস রোগ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখুন। এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হয়ে সতর্ক থাকুন।

বাচ্চাদের জন্য ডেঙ্গু জ্বর কতটা ঝুঁকিপূর্ণ

ডেঙ্গু জ্বর হলো মশা বাহিত একটি সংক্রামিত ভাইরাল রোগ। এই রোগটি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক গুরুতর হতে পারে। এই রোগের মাধ্যমে শিশু শরীরে ব্যথার সৃষ্টি হয় এবং ক্লান্তি অনুভব করে এবং শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি দেখা যা। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশুর প্রচুর পরিমাণ জ্বর আসতে পারে এবং বারবার বমি করতে পারে।

তাই এই সময়টাই শিশুর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে এবং শিশুর শরীরের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তাছাড়া অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে শিশুর ডেঙ্গু হয়েছে কিনা। যদি লক্ষণ বোঝা যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হ। না হলে শিশুর মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকতে পারে।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের চিকিৎসা

চিকনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। যেমন প্যারাসিটামল খেতে হবে জ্বর কমানোর জন্য।  জ্বরের মাত্রার ওপর নির্ভর করে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা পর পর ওষুধ খেতে হবে। একজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে চারটির বেশি ওষুধ নিলে লিভারের অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরে বা চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম করা অনেক জরুরী এবং এটা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের কারন  লক্ষণ এবং প্রতিকার

ডেঙ্গু জ্বর বা চিকুনগুনিয়া লক্ষণ দেখা দিলে এ সময় অতিরিক্ত ভারী কাজ বা বেশি পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এ সময় শরীর অনেক ক্লান্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বর হলে সারাদিন যে শুধু বিশ্রাম নিতে হবে এমনটা নয়। স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা বা ছোটখাটো কাজ করা যেতে পারে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়।

ডেঙ্গু জ্বরে সাধারণত কারা বেশি আক্রান্ত হয়

ডেঙ্গু জ্বরে যারা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হয় তারা হলো গর্ভবতী মহিলা ৬০ বছরের উপরে এবং যাদের বয়স এক বছরের কম। এছাড়া যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে এবং যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত এই ধরনের মানুষের সব থেকে বেশি সমস্যা হয়। এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসকেরা হাসপাতালে থাকার পরামর্শ বেশি দিয়ে থাক।

আরো পড়ুনঃ আরবি ১২ মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৬

তাই এ সময় জ্বর বেশি দেখা দিলে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নেয়া উচিত। যাতে করে কোন ধরনের প্রাণঘাতী সমস্যার মধ্যে না পড়তে হয়। তাই এই সময় শিশু বৃদ্ধা এবং গর্ভবতী নারীদের সতর্ক থাকতে হবে যেন তারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হয়।

এডিস মশা কিভাবে বিস্তার লাভ করে

এডিস মশা বংশ বিস্তার করে পরিষ্কার পানিতে। যেমন এসি বা ফ্রিজের নিচে ফুলের টবে এসব জায়গায় জমে থাকা পানির মধ্যে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি হয়। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার বিষয় হচ্ছে বর্ষার মৌসুমে এই রোগ বেশি দেখা যায়। এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়। একটু ভালোমতো লক্ষ্য করলেই এডিস মশাকে চিনতে পারবেন। এই মশাটা দেখতে ডোরাকাটা সাদাকালো এবং লোমযুক্ত শুঁড়  থাকে এবং এদের মাথার পেছনে সাদা দাগ থাকে।এই মশা জুন  থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব বেশি দেখা যায়।

এই মশা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেকোনো সময় কামড়াতে পারে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে চিকিৎসকেরা বলেন দিনের বেলা এডিস মশা কামড়ায় না। অনেকের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে এ সময় এডিস মশা কামড়ানো সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই ঘুমানোর সময় মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো উচিত। আর যদি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তাহলে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে যেন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত না হয়ে পড়ি।

মন্তব্যঃ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ লক্ষণ এবং প্রতিকার

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে অনেকে জানতে চাই। আশাকরি উপরের আলোচনা থেকে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছেন। এছাড়াও ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব সব থেকে বেশি দেখা যায় আমাদের দেশে বৃষ্টির সময়। এ সময় প্রায়ই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অনেক  রোগী দেখতে পাওয়া যায়।  এই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে  অনেক মানুষ মৃত্যুও বরণ করে। ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া রোগের কারণ লক্ষণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে উপরে অনেক বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের লক্ষণ গুলো এখন বেশি দেখা যাবে এই বিষয়টি চিন্তা করেই আজকের আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম স্বাস্থ্য  সেবামূলক আরো আর্টিকেল পড়তে চাইলে আমাদের আর্টিকেলটি  শেয়ার দিন সবার সবার কাছে। আর্টিকেলটি সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ঝরনা আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url